ঢাকাঃত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন মানিক সাহা। কিছুদিন আগেই তিনি রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি বিজেপির প্রাদেশিক সভাপতি ছিলেন। শনিবার (১৪ মে) তাকে সভাপতির পদ ছাড়তে বলা হয়। নতুন সভাপতি করা হয়, সদ্য পদত্যাগ করা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে। খবর ইন্ডিয়া টুডে।

মুখ্যমন্ত্রী পদে বিপ্লব দেব ইস্তফা দেওয়ায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব জরুরি বৈঠকে বসে। দুটি নাম নিয়ে চর্চা চলছিল-মানিক সাহা এবং রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা। শেষ পর্যন্ত মানিক সাহার কাঁধে রাজ্যশাসনের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রদেশ নেতৃত্ব।  

সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, বিপ্লব দেবকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মানিক সাহা সংসদ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। তার জায়গায় বিপ্লব দেবকে প্রার্থী করা হবে।

বিপ্লব দেব ইস্তফা দেওয়ায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব জরুরি বৈঠকে বসে। গঠন করা হয় কমিটি। দিল্লি থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠানো হয় ভূপেন্দ্র যাদবকে। ওই বৈঠকেই মানিক সাহার হাতে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, দলে তার গ্রহণযোগ্যতা। পাশাপাশি সকলকে নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। রয়েছে সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা। সে কারণে মুখ্যমন্ত্রী পদে রাজ্য নেতৃত্ব তাকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারিভাবে বিজেপি ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেনি। এখনও পর্যন্ত খবরে জানা যায়, শনিবার রাত আটটা নাগাদ সরকারিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে।

এর আগে পদত্যাগ করেছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এক লাইনের চিঠি লিখে পদত্যাগের কথা জানান তিনি রাজ্যপালকে। রাজ্যটির বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন তিনি। আগামী বছরেই ওই রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিপ্লবের বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ জমা হচ্ছিল, তাতে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরাগভাজন হচ্ছিলেন। তাছাড়া প্রশাসনের বিভিন্ন প্যারামিটারেও বিপ্লবের ত্রিপুরা সরকার ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছিল। মাত্র চার বছরেই ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল। সম্ভবত ওই কারণেই বিধানসভা ভোটের আগে মুখ বদল করল গেরুয়া শিবির।

রাজনৈতিকমহলে মনে করছে, খুব কঠিন সময় রাজ্য শাসনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলো মানিক সাহার কাঁধে। কারণ, তাদের শত্রু এখন আর সিপিএম নয়।


প্রতিবেদক,বাংলাদেশ দর্পণ