শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধিঃ সুবির ঘোষ।


দেবী দুর্গার আগমনের প্রহর গুনছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। 

শারদীয় দুর্গাপূজা আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। পূজার মূল আধার তাই দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে সনাতন  ধর্মাবলম্বীদের মাঝে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ।


মাগুরা জেলা বিএনপি'র সিনিয়ার সদস্য,ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের জেলা আহবায়ক, এ্যাডঃ কুমুদ রঞ্জন বিশ্বাস,  বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশবাসীকে জানাই আমার অগ্রিম শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। ইতিমধ্যে আমরা সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে দুই থেকে চারবার বৈঠক করেছি সেখানে এই দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে এবং নিরাপত্তার সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা পালন করতে পারে সেই জন্য কিছু নির্দেশনা বলি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের বলা হয়েছে। যে আমরা প্রতিপূজা মন্দিরে সভাপতি ও সম্পাদকে জানিয়েছি। আমি মনে করি মাগুরা জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিক একটি জেলা সে হলো মাগুরা জেলা এখানে কোন প্রকার হানাহানি নাই পূর্বেও ছিলনা কোন পূজা মন্দিরে পূর্বেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় নাই আশা করি বর্তমানেও হবে না এবং আইন-শৃঙ্খলা ভালো তবুও আমরা সমস্ত পূজা মন্দিরে খোঁজ খবর রাখছি। যদি কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে তার প্রতিকার করব। শালিখা উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সাব কমিটির সদস্য অরূপ সাহা জানান, এবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে দুর্গা উৎসবকে ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনার কোনো কমতি নেই। গত বছরের তুলনায় এবার মন্দিরের সংখ্যা বেশি তাই উৎসবের আমেজ একটু বেশিই থাকবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটা পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা, আলোকসজ্জা, পূজা কমিটিসহ আইনস-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে।  


 দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বী  সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর উৎসবকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন (ভাস্কর) মৃৎশিল্পীরা। পূজা শুরুর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দেবী মা দুর্গাকে পরিপূর্ণ রূপে  মন্দিরে  তুলতে হবে। এজন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যেই প্রতিমা তৈরির কাঠামোর মাটির কাজ শেষ করে শুরু করেছে  রং ও সাজসজ্জার কাজ। 


উপজেলার  আড়পাড়া  কেন্দ্রীয় মন্দির (আড়পাড়া রাধাগোবিন্দ মন্দিরে)  সরেজমিনে দেখা যায় দেবী দুর্গা ও তার বাহন  সিংহের প্রতিমাসহ তৈরি করা হয়েছে মহিষাসুরের প্রতিমা। এছাড়াও দেবী লক্ষ্মী, সরস্বতী, দেব কার্তিক, গণেশ ও তাদের বাহন। ইঁদুর, হাঁস ও ময়ূর, লক্ষীর ভার, সবার উপরে রেখেছে মহাদেবের প্রতিমা। সর্বক্ষণ এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন (ভাস্কর) মৃৎশিল্পীরা। তাদের সহযোগিতা করছেন বেশকিছু লোক। 


উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের (ভাস্কর)  অনিমেষ মন্ডল জানান, গত কয়েক মাস ধরে তারা দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজ করছে। তিনি বলেন এবার পাঁচটি মন্দিরে  প্রতিমা তৈরি  কাজ হাতে নিয়েছি। আরো জানান শুধু জীবিকা নির্বাহর জন্য  কাজ করছি না, দেবী দুর্গার মূর্তি তৈরিতে রয়েছে শিল্প-সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুভূতি, ভক্তি শ্রদ্ধা  আর ভালোবাসা। দুর্গা উৎসব উপলক্ষে প্রতি বছর চার থেকে পাঁচটি  প্রতিমা তৈরি করে থাকি। এবার রং ও সাজসজ্জার দাম বৃদ্ধির কারণে পূজা মন্দিরের  সংখ্যা কম হলেও তিনি উপজেলার আড়পাড়া চুকিনগর সার্বজনীন মন্দির সহ চারটি পূজা মন্দিরে  কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন।