পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ছোনাখোলা গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায় মালাকার বসতবাড়িতে ও মন্দিরে হামলা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী।

গতকাল রবিবার (১৬ মে) বিকেল ৪:৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সন্ত্রাসীর হামলায় আহতরা হলো, ১)রিতা রানী, (৪০) স্বামী -শ্যামল মালাকার। ২)দিনেশ মালাকার। ৩) রানী বালা, স্বামী- মৃত রাখাল মালাকার ৪)শ্যামল মালাকার। ৫) পরান বালা, স্বামী সুধির মালাকার। ৬) নিপু রানী, স্বামী- মনতোষ মালাকার। ৭) গীতা রানী মালাকার,স্বামী পরেশ মালাকার। ৮) সবিতা রানী, স্বামী - দিনেশ মালাকার ৯) বলরাম মালাকার। ১০) কমল মালাকার(৩৫) তবে সবচেয়ে গুরতর অবস্থয় আহত হয় রিতা রানী(৪০) মালাকার। তার মাথায় বগি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। বর্তমানে তিনি গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়ার মোঃ সেলিম বেপারির নেতৃত্বে এ হামলা ঘটে। স্থানীয় এলাকাবাসীর থেকে ঘটনার সূত্রপাত জানা যায় যে, গতকাল মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেল ৪:৩০ ঘটিকার সময় একই গ্রামের সেলিম বেপারীর মুক ডাল ক্ষেতে শ্যামল মালাকারের গরু ঘাস খাওয়া শুরু করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিম বেপারীর নেতৃত্বে দলবেধে এসে একদল দেশীয় কুড়াল,বগি, রামদা, লাঠি-সেটা নিয়ে মালাকার বাড়িতে প্রবেশ করে শ্যামল মালাকারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে শ্যামল মালাকার প্রতিবাদ করতে গেলে সেলিম ব্যাপারি দলবল বেধে এলোপাথারি ভাবে লাঠি,দা,রামদা,কুড়াল চালানো শুরু করে।

এসময় শ্যামল মালাকারকে লাঠি দিয়ে গনভাবে পিটিয়ে মাটিতে শোয়াইয়ে ফেলে। ঘটনার একপর্যায়ে, রিতা রানীর(৪০) মাথায় হয়াজামুল বেপারীর হাতে বগি দা দিয়ে রিতা রানীর মাথার উপরিভাগে কোপ দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জথম করে। জখম করার পর পরই দলবেধে রিতা রানীর পড়নের কাপড় চোপড় টানা-হোচড়া করতে শুরু করে। দুষ্কৃতকারীরা শুধু রিতা রানী ও শ্যামল মালকারকে কুপিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি, এসময় মালাকার বাড়ির ভেতরের মন্দির ও শ্যামল মালাকারের বসতভিটা ও মন্দির পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। বসত বাড়ির অনেক মূল্যবান জিনিষ পত্র ও মন্দিরের প্রতিমা পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলে।

এ ঘটনায় শ্যামল মালাকার বাদী হয়ে সেলিম বেপারী সহ ২১ জনের নামে গলাচিপা থানায় মামলা করে। মামলায় আসামীরা হলেন, ১। মোঃ সেলিম বেপারী(৩৫) ২। মোঃ হয়াজামুল(৩৬) ৩। মোঃ চানু বেপারী(৪৫) ৪। মোঃ রিপন হোসেন। ৫। মোঃ ফিরোজ বেপারী সহ মোট একুশ জন। এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ইনচার্জ(ওসি) এম আর শওকাত বলেন, " ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেজে। অবলম্বে হামলাকারিদের গেপ্তার করা হবে।"