যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মানেই গোটা বিশ্বের ওপর বিশাল একটা প্রভাব। সারা বিশ্বের মানুষ উদ্বেগের সাথে চেয়ে থাকে এ নির্বাচনের দিকে।

কিন্তু আমার অনেকই ঠিক জানি না সারা বিশ্বে উদ্বেগ সৃষ্টিকারী এ নির্বাচন ঠিক কিভাবে হয়ে থাকে। আর তাই সেই অজানাকে জানার জন্য আমাদের এই বিশেষ আয়োজন। চলুন জানা যাক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য-

★ প্রতি চার বছর পরপর এ নির্বাচনের হয়ে থাকে। নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ এই বছরে নির্বাচন হতে যাচ্ছে তেসরা নভেম্বর।

★ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা মূলত প্রধান দুইটি দলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় রিপাবলিকান পার্টি ও ডেমোক্র্যাট পার্টি। সুতরাং প্রেসিডেন্ট এই দুইটি দলের যেকোনো একটি থেকে নির্বাচিত হন।

★ রিপাবলিক পার্টি যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল এবং এই বছর তাদের প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান পার্টি আরও একটি নামেও পরিচিত। তা হলো জিওপি বা গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। সাম্প্রতিক সময়ে কম ট্যাক্স হার, বন্দুক রাখার অধিকার এবং অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোয় দলটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

★ অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট পার্টি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে উদারনীতির রাজনৈতিক দল আর এই বছর তাদের প্রার্থী হলেন জো বাইডেন। অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ বারাক ওবামার সময় ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে আট বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।

★ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েও একজন বিজয়ী নাও হতে পারে কারণ এখানে প্রার্থীদের ইলেক্টোরাল কলেজের সংখ্যাধিক্য ভোট পেতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার বিচারে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। ফলে বিজয়ী প্রার্থীকে অন্তত ২৭০ বা তার বেশি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হবে।

★ আঠারো বছরের ঊর্ধ্বে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়া যায়। তবে অনেকগুলো স্টেটে আইন রয়েছে যেখানে ভোট দেয়ার আগে তাদের নিজেদের পরিচয়ের প্রমাণ স্বরূপ কাগজপত্র দেখাতে হয়।

★ বেশিরভাগ ভোটার নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন। তবে বিকল্প পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার সুযোগ ও রয়েছে। ভোটার ডাকযোগে তার ভোট দিতে পারেন।

সংগৃহীত ,নিজস্ব প্রতিবেদক,বাংলাদেশদর্পন.কম