সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গত ৩০ মার্চ দুপুরে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আলকাছ মিয়া ও তার ক্যাডার বাহিনী সুব্রত রঞ্জন দাস এর দোকান সহ অরো ৫টি হিন্দুদের দোকান দখল করার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিতে গেলে সকলকে মারধর করে। সকলকে দোকান থেকে বের করে দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। সকলকে দেশ ছেড়ে চলে যাবার হুমকি দেয়। দোকানের কাছে গেলে খুন করার হুমকি দেয়। এ বিষয় তাহিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন, আলকাছ মিয়া (৪৫), মনির হোসেন (৩০), সুজন মিয়া (২০), ছাব্বির মিয়া (১৮), ইসলাম উদ্দিন (১৯), মরম আলী (৬৫)সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন।

বড়ছড়া গ্রামের একটি বাজার। এই বাজারের জায়গা মনি বাবু নামে এক ব্যক্তির পূর্বপুরুষদের। অনেক  আগে থেকে এই জায়গা তাদের। সেখানে তারা অনেক আগে থেকেই বসবাস করে আসছেন।

বাজারে কিছু জায়গা আবার তারা মসজিদের নামে দিয়েছেন। আবার কিছু জায়গা আওয়ামী লীগের অফিসের জন্য দান করে দিয়েছেন। বাজারের ভিতরে কবরস্থানের জায়গাও মনি বাবুর দান করা।

বর্তমানে বাজারে মনি বাবুর আত্মীয়-স্বজনদের পাঁচটি দোকান আছে। গত কিছু বছর শান্তিতে দোকানপাট করলেও বর্তমানে তারা পারছেন না। স্থানীয় কয়লা ব্যবসায়ী আলকাছ খন্দকার বাজার কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে অত্যাচার, লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। দোকান খুলতে দিচ্ছে না। অন্য জায়গায় ভাড়া দিতে দিচ্ছে না। আর তাকে এখন বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় ।

পাঁচটি দোকান হলো শ্রাবন্তী স্টোর পরিচালক অসীম দাস, সুমন স্টোর পরিচালক সুমন দাস, হৃদয় স্টোর পরিচালক হৃদয় দাস সাগর, বিশাল স্টোর পরিচালক অনিক দাস, শুভ টি স্টল পরিচালক সুব্রত দাস।

হিন্দু পরিবার গুলি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। তাই ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছেন।