চট্রগ্রামঃ সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে কন্টেইনার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫০, আগুন এখনো জ্বলছে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকাবহ হয়ে পরেছে পুরো দেশ। কাঁদছে দেশবাসী।

স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে দেশের বিভিন্ন এলাকা। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পীকারসহ দেশের বিভিন্ন মহল পৃথক পৃথক শোক জানিয়েছেন। নিহতদের পরিবার ও আহতদের পাশে দাড়াতে সামাজিক মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।

এদিকে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে লাগা আগুন প্রায় ২০ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি দল।

রোববার (৫ জুন) বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়, আগুন লাগা কনটেইনারগুলোয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওপর থেকে যন্ত্রের সাহায্যে পানি ছিটাচ্ছেন।

কিছু কিছু জায়গায় জ্বলছে আগুন। আর কিছু জায়গায় উঠছে ধোঁয়া।

গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।

এতে ৫ শতাধিক মানুষ আহত হন। রাতেই আহতদের অধিকাংশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

এ ছাড়া চট্টগ্রামের অন্যান্য হাসপাতালেও অনেকে ভর্তি হন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

বিস্ফোরণস্থল থেকে রোববার সন্ধ্যা নাগাদ ৫০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী জানিয়েছেন।

বিকালে সরেজমিন দেখা যায়, কনটেইনার ডিপোর ভেতর থেকে লাশের অপেক্ষায় আছেন ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা।

ক্লান্ত দেখা গেছে ফায়ার সার্ভিসের অনেক সদস্যকে। এরপরও তাঁরা ঘটনাস্থলের অনেক দূর থেকে পানি নিয়ে আসছেন।

কনটেইনার ডিপোর পাশে থাকা বেশ কয়েকটি কনটেইনারে পানি ছিটাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

পুড়ে যাওয়া কন্টেইনারগুলোর ভেতরের বিভিন্ন দ্রব্যের পোড়া গন্ধ আর গ্যাস ওই এলাকার বাতাসে মিশে প্রাণিকুলের জন্য অসহনীয় অবস্থা তৈরি করেছে।

আশপাশের বাসিন্দারা মাস্ক ও নাকে রুমাল বা কাপড় পেঁচিয়ে দুঃসহ সময় পার করছেন।


প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ