নেত্রকোনায় তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন করে একমাস পার হলেও কোন ধরনের তথ্য প্রদান করছেন না জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুর।

এমনকি এক মাসের মধ্যে তথ্য প্রদানের চিঠি দেয়ার কথা থাকলেও বিষয়টি জানেন না দায়িত্ব প্রাপ্ত এ কর্মকর্তা। এ নিয়ে বারবার যোগাযোগ করলেও  তিনি অদৃশ্য কারনে তা এড়িয়ে যান ।
উল্লেখ্য, গত মাসে জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নে সাতগাঁও এমবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জমিলা খাতুনের জাল সনদ ও ভূয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার করে শিক্ষকতা করছেন মর্মে এশিয়ান টিভিতে সংবাদ প্রচার হয়। 
সংবাদ প্রচারের পর পরেই নড়েচড়ে বসে জেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তারা। দফায় দফায় তদন্ত করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
পরে বিষয়টি নিয়ে এশিয়ান টিভির নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম মনি তথ্য অধিকার আইনে জমিলা খাতুনের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র চাইলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল গফুর তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। শুধু তাই নয় জমিলা খাতুনের সনদপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র শিক্ষা বোর্ডে যাচাই বাছাই না করেই তিনি তদন্ত করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে  বলেন, জমিলা খাতুনের সকল কাগজ পত্র সঠিক আছে। 
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল গফুর তথ্য অধিকার আইন অমান্য করে বিষয়টি তিনি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল গফুরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির ব্যক্তিকে চিঠি ইস্যু করতে হয় বিষয়টি আমার জানা নেই।

 

প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ