ডেস্করিপোর্ট: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে রাজধানী মালের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।

বিমানটি স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় মালে পৌঁছাবে। মালদ্বীপের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। শেখ হাসিনার মালদ্বীপ সফরকালে ২৩ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বন্দিবিনিময় ও দ্বৈত কর পরিহারসহ দুটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে।

প্রস্তাবিত চুক্তিগুলো হচ্ছে- দ্বৈত কর পরিহার, বন্দিবিনিময়। সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাবিজ্ঞান (নবায়ন) এবং দুই দেশের যুব ও ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়নে সহযোগিতা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ চুক্তি নবায়ন করা হবে।

সফরকালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ দুটির মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ মালদ্বীপকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী ২৩ ডিসেম্বর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন। এ সময় বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে দু’দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। পরে দুই নেতা সংবাদমাধ্যমের সামনে যৌথ বিবৃতি দেবেন।

সফরকালে মালের হোটেল জিনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম, পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ ও দেশটির প্রধান বিচারপতি উজ আহমেদ মুতাসিম আদনান সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে মালদ্বীপের পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন। সন্ধ্যায় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ও ফাস্ট লেডি আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় শেখ হাসিনা যোগ দেবেন।

২৪ ডিসেম্বর মালেতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২৭ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকায় ফিরবেন।


বাংলাদেশ দর্পণ