যশোরঃ ভারত সরকারের উপহার দেওয়া চতুর্থ চালানের আরও ২৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। চারটি চালানে ভারত থেকে এলো ১০০ টি অ্যাম্বুলেন্স।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালের দিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ছাড়পত্র পাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরকালে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টায় লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, চলতি বছরের ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরকালে করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারকে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরই অংশ হিসেবে রোববার বিকেলে ২৯টি অ্যাম্বুলেন্স পেট্রাপোল বন্দর থেকে বেনাপোল বন্দরে এসেছে। বাকি অ্যাম্বুলেন্সগুলো চলতি মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে আসবে।

এর আগে ভারত সরকারের উপহারের প্রথম চালানের একটি অ্যাম্বুলেন্স গত ২১ মার্চ, ৭ আগস্ট ৩০টি ও ২৬ আগস্ট ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসে। এ নিয়ে দেশে এলো ১০০টি অ্যাম্বুলেন্স। উপহার হিসেবে আসা প্রত্যেকটি অ্যাম্বুলেন্সে ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মামুন জানান, ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের নামে এসব অক্সিজেন সংবলিত অ্যাম্বুলেন্স এসেছে। উত্তরা মোটরস নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখায় এগুলোর গেটপাশ (আইজিএম) জমা দিয়েছিলেন।

সিঅ্যান্ডএফ উত্তরা মোটরসের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান জানান, ভারত সরকারের উপহারের ২৯টি অ্যাম্বুলেন্সের কাগজপত্র কাস্টমসে দেওয়া হয়েছে।

ভারত সরকারের উপহারের এই অ্যাম্বুলেন্স কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে।

এদিকে ভারতীয় হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেনাপোল শুল্ক হাউজ থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর এগুলো সোমবার ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হবে। বাকি ৯টি অ্যাম্বুলেন্স সেপ্টেম্বরের শেষে ঢাকায় পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এতে আরো বলা হয়, এ অ্যাম্বুলেন্সগুলো কোভিড মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে। এ উপহার বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জনগণের সহায়তার জন্য ভারতের অব্যাহত ও দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। 


প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ