নেত্রকোনা: আজ হতে ১৫ বছর পূর্বে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের অজহর রোডস্থ উদীচী কার্যালয়ের সামনে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। এই বোমা হামলায় আত্মঘাতী কিশোরসহ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খাজা হায়দার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদীপ্তা পাল শেলী, মোটর মেকানিক্স যাদব দাস, রাণী আক্তার, আফতাব উদ্দিন, জয়নাল, রইছ উদ্দিনসহ ৭জন নিহত হয়।আহত হয় কমপক্ষে ৯০ জন।

দিবসটি উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কালোব্যাজ ধারনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে উদীচীসহ বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও  রাজনৈতিক দল।

এসময় পুস্পস্তবক অর্পণ করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যবৃন্দ, জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, প্রত্যাশা সাহিত্যগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন।

এছাড়া  সকাল ১০ টায় স্থানীয় শহীদ মিনারের সামনে সন্ত্রাস, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও সকাল ১০ টা ৪০মিনিট থেকে ১০ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ৫ মিনিট নীরবে দাড়িয়ে থেকে স্তব্ধ নেত্রকোনা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। এছাড়াও শহীদ পরিবারবর্গের সাথে সাক্ষাত করবেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা।

 


তৎকালীন এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই, শামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানি, জেএমবি কমান্ডার আসাদুজ্জামান, সালাহ্উদ্দিন এবং ইউনূসসহ ৮ জনকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। ইতিমধ্যে ঢাকা দ্রুত বিচার ট্র্যাইব্যুনাল আদালত-২ নেত্রকোনায় বোমা হামলা মামলার ৭ আসামীকে ফাঁসি ও বাংলা ভাইয়ের স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।

বোমা হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ ও নতুন প্রজন্মের সামনে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দুর্বার প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলার লক্ষ্যে নেত্রকোনার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সম্মিলিতভাবে প্রতি বছরের ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনা ট্র্যাজেডি দিবস পালন করে আসছে।


নয়ন বর্মন
নেত্রকোনা প্রতিনিধি