ভারতের হিমালয়ের রাজ্য সিকিমে টানা বৃষ্টিতে ভূমিধস ও বন্যায় চলতি সপ্তাহে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে; আটকা পড়েছেন প্রায় দুই হাজার পর্যটক।
সিকিম সীমান্তবর্তী নেপালের তাপ্লেজুং জেলায় বৃষ্টির পর ভূমিধসে এক পরিবারের আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিধসে যখন তাদের বাড়ি ভেসে যায়, তারা তখন ঘুমাচ্ছিলেন।স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরের মাঙ্গন জেলায় বেশ কয়েকটি স্থানে ভূমিধস হয়েছে।
মঙ্গনের জেলাশাসক হেম কুমার ছেত্রী জানিয়েছেন, ৩৬ ঘণ্টা ধরে সেখানে টানা বৃষ্টি হয়েছে। ভূমিধসে একাধিক জায়গায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ জেলা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
“আটকা পড়া পর্যটকরা সবাই নিরাপদে আছেন। তবে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আমরা তাদের সরিয়ে নিতে পারছি না। তাদের মধ্যে ১১ জন বিদেশি নাগরিক।” গতবছর বন্যায় ভেঙে যাওয়া একটি বেইলি সেতু নতুন করে বানানো হয়েছিল। পুনর্নির্মিত সেতুটিও এবার বন্যায় ভেঙে গেছে। ধস নেমে বন্ধ হয়ে গেছে বহু রাস্তা। বহু বাড়ি ভেঙে গেছে। দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই এলাকা।
ভুটান, চীন ও নেপালের মাঝে অবস্থিত সাড়ে ছয় লাখ মানুষের ছোট্ট বৌদ্ধ রাজ্য সিকিম জনপ্রিয় একটি পর্যটন গন্তব্য। কিন্তু হিমালয়ের চরম আবহাওয়ার কারণে প্রতি বছরই এ অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয়।
রাস্তা মেরামতের জন্য কর্মী ও যন্ত্রপাতি পাঠানোর কথা জানিয়ে ছেত্রী বলেন, ক্ষয়ক্ষতি 'ব্যাপক', মেরামত করতে কিছুটা সময় লাগবে।
বৃষ্টিতে প্রায় ৫০টি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেসব বাড়ির বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত বছর সিকিমে হিমালয়ের একটি হিমবাহ ফেটে বন্যায় কমপক্ষে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, নেপালের পূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হলেও হিমালয়ের দেশটির পশ্চিমাঞ্চল উষ্ণ আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে বলে আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ডেস্ক রিপোর্ট, বাংলাদেশ দর্পণ