একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে যশোরে প্রথম শহিদ চারুবালা করের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর শাখা। তার সমাধিস্থল বেদখল হওয়ায় নীলগঞ্জ মহাশ্মশানের বটবৃক্ষের অভিমুখে চারুবালা করের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।


অথচ ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ যশোরবাসীর কাছে ঐতিহাসিক দিন। স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল এই দিনে। পাক হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে এই দিনে যশোরে প্রথম শহিদ হয়েছিলেন চারুবালা কর। 


মুক্তিযুদ্ধের প্রথম নারী শহিদ যশোরের চারুবালা করের সমাধিস্থল বেদখলে; খুঁজে পাওয়া যায়নি স্মৃতিফলক-- তাই নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির উদ্যোগে এবছরও (২০২২) প্রতীকি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। একইসাথে চারুবালা করের নিহতস্থল এলাকার শহিদ সড়কটি সড়কটি চারুবালা কর শহিদ সড়ক নামকরণ ও নীলগঞ্জ শ্মশানে চারুবালা করের দখলকৃত সমাধিস্থল উদ্ধার করে শহিদ চারুবালা স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধে যশোরে প্রথম শহিদ 'চারুবালা কর'


৩ মার্চ ২০২২ এর সকালে এ নীলগঞ্জ মহাশ্মশানের এক বটগাছের বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পন করে এ শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন ও দাবি জানানো হয়। এছাড়া শহিদ চারুবালা করের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি যশোর জেলা শাখার সভাপতি হারুন অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান বকুল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন,  আইডিইবি যশোরের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, নীলগঞ্জ মহাশ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক যোগেশ দত্ত, সংস্কৃতিকর্মী ও সাংবাদিক প্রণব দাস, সুকান্ত দাস, কবি মামুন আজাদ প্রমুখ।