‘আচ্ছালামুয়ালাইকুম আমার নাম আয়েশা, আমার বয়স ৬ বছর। আমার হার্টের সমস্যা। আমি বড় হয়ে লেখাপড়া করতে চায়। আমার হার্ট সারাই দিক আল্লাহ।’ এইভাবেই বর্ণনা করছিলেন মোঃ মোহাব্বত আলী (৩৫) ও শিউলী আফরোজ  (৩০) এর আদরের বড় মেয়ে আয়েশা খাতুন।

ঝিনাইদহ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড ব্যাপারী পাড়ার পিতা: আয়ুব আলী(৭৫) মাতা: আমেনা খাতুন(৫৫) একমাত্র ছেলে মোঃ মোহাব্বত আলী। দীর্ঘদিন ধরে তারা কেসি কলেজের সামনে ফুটপথে কাপড় বিক্রি করে। 

আয়েশার বাব বলেন, আমি কেসি কলেজের সামনে ফুটপথে গেঞ্জি ব্যবসায়ী। সরকারের দেওয়া লকডাউনে এমনিতেই বেকার হয়ে গেছি। অল্প পুজি নিয়ে ব্যবসা করি। এই পুজি নিয়ে বাচ্চার ওষুধপাতি কিনে আমার জীবন যাপন চলে। ৬বছর পর বাচ্চা অসুস্থ হয়ে গেলে ডাক্তার জানায় অপারেশন করা লাগবে, ৫/৬ লাখ টাকা লাগবে। আমি গরীব মানুষ। আমার পক্ষে এতোগুলো টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। আপনাদের কাছে আকুল আবেদন আপনারা আমার পাশে দাঁড়ান তাহলে আমার ছোট বাঁচ্চাটা বেঁচে যেতে পারে।’

আয়েশার মা শিউলী আফরোজ জানান,‘আজ ২ মাস আমার মেয়ে খুবই অসুস্থ। কোনভাবেই সুস্থ হচ্ছে না। বিনীত নিবেদন আপনাদের কাছে, আপনারা যদি আমার এই ছোট বাচ্চার পাশে দাঁড়ান তাহলে বাচ্চা সুস্থ হয়ে যাবে।’

ব্যাপারী পাড়ার মোঃ মজনু হোসেন বলেন, আমার প্রতিবেশী ফুটপথে হকারী করে। আজ তার বাচ্চাটা অসুস্থ। সবাই আমরা তার পাশে দাঁড়ায়।

আরেক প্রতেবেশী মোঃ আজিম হোসেন বিশ্বাস জানান, আয়েশা আজ খুব অসুস্থতার ভিতর আছে। তার বাবা সবার কাছে  দোয়া ও  সহযোগিতা চায়। 

প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ