নেত্রকোনা: জেলার ৩ উপজেলায় বজ্রপাতে ৭ জন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয় আরো ৯জন। মঙ্গলবার(১৮ মে) দুপুরে এই বজ্রপাতে র ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে খালিয়াজুরি উপজেলায় ৩ জন,কেন্দুয়া উপজেলায় ২ জন
এবং মদন উপজেলায় ২জন। জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হচ্ছে, মদন উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে হাফেজ মো: শরীফ (১৮), মুছা মিয়ার ছেলে হাফেজ রবিন (১৭)। খালিয়াজুরী উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের ওসেফ মিয়া (৬৫), বিপুল মিয়া (৩২) এবং বাতুয়াইল গ্রামে একজনের পরিচয় জানা যায়নি। কেন্দুয়া উপজেলার কুন্ডুলী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে কৃষক ফজলু মিয়া (৫৫) ও পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের আহসান খানের ছেলে বাচ্ছু খান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর অনুমান ২টার দিকে কেন্দুয়া উপজেলার ফজলু মিয়া বাড়ির পাশেই সব্জি ক্ষেতে কাজ করছিলেন। এসময় বজ্রসহ বৃষ্টি নামে। হঠাৎ বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হন তিনি। খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। অপরদিকে একই উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের আহসান খানের ছেলে বাচ্ছু খান (৪৫) বৈরাটী আশ্রমের পাশের মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি নামলে বজ্রপাতে তিনিও আহত হন। তাকেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।


এদিকে মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের দুপুরে বাড়ীর অদুরে একটি মাঠে ফুটবল খেলার সময় দুইজন নিহত হয়। এসময় তিনজন আহত হয়েছে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এছাড়াও খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুরের একটি হাওরে মাছ ধরার সময় দুইজন নিহত হয়। এসময় আরো তিনজন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমান জানান, ‘বজ্রপাতে ৭ জন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা প্রদান করার জন্য স্ব স্ব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

 

নয়ন বর্মন | নেত্রকোনা প্রতিনিধি