ধর্ম নিউজিল্যান্ডের রাজনীতিতে ‘গুরুত্বপূর্ণ এবং কখনও কখনও বিতর্কিত ভূমিকা’ পালন করেছে এবং অব্যাহত রেখেছে । তবে বেশিরভাগ নিউজিল্যান্ডের রাজনীতিবিদদের ভারতীয়দের মত ধর্মীয় বিশ্বাসকে একটি ব্যক্তিগত বিষয় হিসাবে বিবেচনা করে।

নিউজিল্যান্ডের খ্রিস্টধর্মের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হিন্দু ধর্ম, ২০১৩ সালের আদমশুমারি অনুসারে ১২৩,০০০ এর বেশি হিন্দু ধমের অনুগামী ছিলো নিউজিল্যান্ডে, নিউজিল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার ২.৬৩% জনগোষ্ঠী হিন্দু। মূলত ১৯৯০ এর দশকের পরে যখন অভিবাসন আইন পরিবর্তন করা হয়েছিল তখন  থেকে নিউজিল্যান্ডে হিন্দুদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তবে এখানে উল্লেখ্য নিউজিল্যান্ডের হিন্দু সবচেয়ে বেশি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তাই নয় হিন্দুরা নিউজিল্যান্ডে সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ।

২০১২ সালে ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েলিংটনের করা সমীক্ষা অনুসারে, নিউজিল্যান্ডের জনগনের বিশ্বাস, হিন্দুরা নাস্তিক, প্রোটেস্ট্যান্টস, মুসলিম, ক্যাথলিক এবং ধর্ম প্রচারকদের চেয়ে বেশি বিশ্বাসযোগ্য। ওয়েলিংটনের একটি ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিউজিল্যান্ডের জনগন ২৮.৩ শতাংশ হিন্দুদের উপর সম্পূর্ণ বা প্রচুর আস্থা রেখেছেন। হিন্দুরাও নিউজিল্যান্ডের উচ্চতর শিক্ষার স্তর রহয়েছে। নিউজিল্যান্ডের শিক্ষিতর হারে দিক থেকে হিন্দুরা সবার উপরে।

রাজধানী ওয়েলিংটন সহ বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য মন্দির আছে ।  বলতে গেলে নিউজিল্যান্ডের হাসপাতালগুলো পরিচালনা করে হিন্দুরাই । হিন্দু ডাক্তার , ইন্জিনিয়ারদের ছড়াছড়ি নিউজিল্যান্ডে !! “ইসকনের” সহ হিন্দু অন্যন সংগঠনের কল্যানে নাস্তিক ও অন্যান্য ধর্মের লোকেরা সনাতন ধর্ম গ্রহন করছে ।জন্মাষ্টমী, রথযাত্রা এগুলো নিউজিল্যান্ডের হিন্দুদের প্রধান উৎসব । এছাড়া প্রতিদিন মন্দিরগুলোতে আরতি ও কীর্তনের ব্যবস্থা থাকে ।

নিউজিল্যান্ডে হিন্দুদের প্রথম উল্লেখযোগ্য বসতি উনিশ শতকে সিপাহীদের (ভারতীয় সৈন্যদের) আগমন থেকে শুরু হয়। গুজরাট এবং পাঞ্জাবের প্রথম ছোট সম্প্রদায়গুলি ১৮৯০-এর দশকে এসেছিল। ১৯৮০ এর দশক অবধি প্রায় সমস্ত হিন্দু অভিবাসী গুজরাট থেকে এসেছিলেন। পরে তা সমগ্র ভারত এবং শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া,বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগত হয়েছে।