চিন্তার স্বাধীন দ্বারগুলোকে,
আজ বড় বেশী শত্রু মনে হয়।
আমি আর ভাবতে চাই না,
কি হবে সার্বজনীন ভাবনা ভেবে?
চারিদিকে একরাশ অবিশ্বস্ততায়,
নিজেকেও চিনতে পারি না মাঝেমধ্যে।
পরিচিত মুখের জগতগুলো ধীরেধীরে
ধূসর থেকে ধূসরময় হয়ে,
নস্যির বিবর্ণদেশে উপস্থিত হচ্ছে।
সেইদেশে রং বড় দৃষ্টিকটু,
সংগীত অশ্রাব্য কোলাহল,
নিজস্ব সংস্কৃতি ঘৃণার বস্তু
বড় অদ্ভূতুরে সে দেশ, সে জগত।
অনুভূতি যেখানে প্রখর,
অনুভূতির নির্মম করাতে প্রতিদিন
ছিন্নভিন্ন হয় সংখ্যালঘুদের আত্মবিশ্বাস,
বাতাসে শোনা যায় কান্নার অস্ফুটধ্বনি।
অনুভূতিতে করাতে, বাকরুদ্ধ হচ্ছে মানুষ।
হীনমন্যতা ঘিরে ফেলে ব্যক্তি, পরিবার, চারিদিক।
সংস্কৃতিসেবক নামক গুটিকয়েক
একচোখা দিবান্ধরা আজ
সংস্কৃতির সংজ্ঞা শেখায় আমাদের।
উঁচুতলার বেনিয়াদের কাছে,
সংস্কৃতি বিক্রি হয় হাটে-বাজারে;
বিনিময়ে বেনিয়াদের কাপড়ের
কলঙ্কের কালো দাগ সাদা হয়,
পরিষ্কার হয়, পরিছন্ন হয়।
এ প্রপঞ্চের মধ্যেই আছি আমি,
আর আছে আমার দ্বান্দ্বিক মন,
তাকে সান্ত্বনা দেই, মন তুমি থেম না;
এগিয়ে যাও, অনিবার্য পথে,
কৃতকর্মের অনির্দিষ্ট গন্তব্যে।