যশোর: গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে সারা দেশব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এসময়ে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মেস মালিক ও যশোর জেলা প্রশাসন বৈঠক করে মেস ভাড়ার কিছু অংশ মওকুফের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মানছে না অধিকাংশ মেস মালিক। এতে বিভ্রান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। 

করোনা ভাইরাসের আক্রমণে সারা বিশ্ব যেরূপ বিধ্বস্ত, সেরূপ বিধ্বস্ততা দেখা দিয়েছে বহুদিন একসাথে থাকা মায়ার বন্ধন ছিন্ন করে ছাত্রছাত্রীদের মেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত। 

সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসে মেসভাড়া নিয়ে যশোর ডিসি বরাবর ছাত্র প্রতিনিধিরা স্মারকলিপি দিলে ৬০% ভাড়া মওকুফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঠিক তার এক সপ্তাহ পর মেস মালিকদের নিয়ে গঠিত কমিটি ডিসির (যশোর)  আলোচনায় বসে। উক্ত আলোচনায় সিদ্ধান্ত আসে ২৫% ভাড়া মওকুফ করা হবে। অথচ এই দুই সিদ্ধান্তের কোনটাই মানছেন না কতিপয় মেস মালিক।

এক তথ্য সূত্রে জানা গেছে, একজন মেস মালিক গেটে তালা পরিবর্তন করে দিয়েছেন সম্পূর্ণ ভাড়া না দিলে কোন জিনিস-পত্র নিতে দেয়া হবে না।

অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অনেকে মেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কিন্তু মেস ছাড়তে গিয়েও হয়রানির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। মালিক পক্ষের দাবি মানতে তারা নারাজ। ইতোমধ্যে করোনা কালে মেসে না থাকার সুযোগে অনেক মেসে চুরির ঘটনাও ঘটেছে। তাই শিক্ষার্থীরা মেসে জিনিসপত্র রাখা অনিরাপদ মনে করছে।

অভিজিৎ চক্রবর্তী, বিশেষ প্রতিবেদক | বাংলাদেশদর্পণ.কম