সুপার সাইক্লোন আম্পানের প্রভাবে বিদ্ধস্ত পুরো সাতক্ষীরা জেলা। এই বিদ্ধস্ত অবস্থার মধ্যে কয়রা উপজেলায় প্লাবিত বাঁধের উপর পানিতে দাড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছে ৫ হাজারের বেশি গ্রামবাসী।

গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা উপকূলীয় এলাকা। এতে উপকূলের নদনদীর অন্তত ২০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, কাশিমাড়ি ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদর এবং কালিগঞ্জ উপজেলার ৫০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়।

করোনার পর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারনে বিবর্ন হয়েছে দেশের উপকূলীয় এলাকার মানুষের। প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে লড়াই করা মানুষগুলোর দেখার যেন কেউ নেই। তাদের কাছে ঈদ যেন ঈদ নয় আর দশটা দিনের মত সাদামাটা।

তবে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো উপকূলের মানুষ ঘরে ফিরতে পারেনি। আশাশুনি উপজেলার এক হাজার পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে-পোলাও চাল, গরুর মাংস ও সেমাই বিতরণ করা হয়েছে। অন্য উপজেলায়ও করোনা ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রাপ্ত বরাদ্দ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাদেশদর্পণ.কম