সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের ছাতকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কমেন্টসকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের উপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা ঘরবাড়ি ও মন্দির ভাংচুর করেছে। এতে আহত হয়েছে নারী-পুরুষসহ অন্তত ১১ জন।

রবিবার (১০ মে) ইফতারের পর (সন্ধ্যায়) পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের তাতীকোনা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাতীকোনা গ্রামের বাসিন্দা তাপস ও আরিফের মধ্যে ফেইসবুকে কমেন্টস করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এতে পথচারীসহ নারী পুরুষসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনার পর সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়ি ও মন্দিরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে মূর্তির গলা থেকে স্বর্ণের নেকলেছ নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

আহতরা হলেন, তাপস দাস (৩২), শিপলু দাস (২৭), পবলু দাস (৩২), পিলু দাস (২৬), রাতুল চৌধুরী (৩০), সুমন দাস (২৬), শিপু দাস, জয়ন্তী রানী দাস (৫০), খেলা রানী দাস (৬০), তৃপ্তি রানী দাস (৫৫) ও রিতা রানী দাস (৫৫) প্রমুখ। তাৎক্ষণিকভাবে আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি। আহতদের ছাতক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় রবিবার গভীর রাতে তাপস দাস বাদী হয়ে হামলাকারী ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২৫ জনকে আসামী করে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় এখনো কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।

খবর পেয়ে রাতেই ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এছাড়াও রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবির, এসপি সার্কেল (ছাতক) বিল্লাল হোসেন।

সোমবার (১১ মে) দুপুর ১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবির বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন উভয় পক্ষকে সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামাল জানান, দুই বন্ধুর মধ্যে ফেইসবুকে কমেন্ট নিয়ে মূলত এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ২২ জনকে আসামী করে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।