সাতক্ষীরা: বুধবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে চার সন্তানের জননী এক বিধবা নারী মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কুলতলী এলাকার চিংড়ি ঘেরে আটকে ওই বিধবা নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

পুলিশের অভিযানে চাঞ্চল্যকর ওই গণধর্ষণ মামলার মোট চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে শনিবার (০২ মে) রাতে পাটকেলঘাটা থানার মির্জাপুর এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. জেল্লাল হোসেন মির্জাপুর এলাকায় অভিযান চালান। এ সময় মির্জাপুর এলাকা হতে গণধর্ষণ মামলার আসামি পাটকেলঘাটা থানার মির্জাপুর এলাকার মৃত মোমিন সরদারের ছেলে মো. মোন্তাজ সরদার, একই গ্রামের মো. শহিদুল সরদারের ছেলে মো. সবুজ সরদার এবং মৃত ওসমান সরদারের ছেলে মো. বিল্লাল সরদারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এরপর ঘটনায় জড়িত গোলাম রব্বানীকেও (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সহকারী পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ সার্কেল) জামিরুল ইসলামের নেতৃত্বে শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ইয়াছিন আলম শনিবার রাতে মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে কাটাখালী পশ্চিমপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত গোলাম রব্বানী কাটাখালী গ্রামের আব্দুস সাত্তার গাইনের ছেলে।

শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার দায়ের করা মামলায় পাঁচ নম্বর আসামি রব্বানী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে রয়েছে বলেও তিনি জানান।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঐ ঘটনায় জড়িত মহসীন, সফিকুল, বাবু, আব্দুল হান্নান ও গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় মামলা করে।