বাগেরহাট: মোংলায় বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে সংখ্যালঘু এক হিন্দু পরিবারের সদস্যদের মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভাবশালীদের হামলায় ঐ হিন্দু পরিবারের সন্তানসম্ভবা এক গৃহবধূ ও শিশুসহ ৭ জন জখম হয়েছেন। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চিলা ইউনিয়নের গোলেরডাঙ্গা এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে মোংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চিলা ইউনিয়নের গোলেরডাঙ্গা গ্রামের অসহায় একটি সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের বসতভিটার উপর কুনজর পড়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশতলা গ্রামের প্রভাবশালী আ. ছালামের। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ওই জমি তার আয়ত্বে নেয়ার জন্য প্রতিবেশীদের যোগশাজসে বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন।

এই অবস্থায় শুক্রবার সকালে অনিল বালা ও তার পরিবারের লোকজন বসত বাড়ীর সীমানা ঘিরতে গেলে প্রভাবশালী আ. ছালামসহ সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অসহায় অনিল বালার পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে অন্তঃসত্তা গৃহবধূ সুমিতা বালাসহ অনিল বালা, মায়া বালা, সরলা গোলদার, শিশু পুটু গোলদার ও শংকর গোলদারসহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

এসময় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে অন্তঃসত্তা গৃহবধূ সুমিতা বালা ও অনিল বালার অবস্থা গুরুতর বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

হামলার ঘটনার পর পরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে মোংলা থানা পুলিশ। দুপুরে গৃহবধূর স্বামী ধনপতি বালা বাদী হয়ে বাঁশতলার আ. ছালামসহ ১১ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এখনও অভিযুক্ত কেউ আটক হয়নি।

এব্যাপারে মোংলা থানার সেকেন্ড অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা শোনার সাথে সাথে সেখানে যাওয়া হয়েছে এবং হামলার শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

এডি/আরকে