ভালোবেসে ধর্মান্তরিত হয়েও সুখ জুটেনি কুলসুমা নাম্নী প্রীতির কপালে। অবশেষে ক্ষোভ এবং হতাশা থেকে রেহাই পেতে জীবন হননের পথ বেছে নেন তিনি। এমনই হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর এলাকায়।

ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা গ্রামের মাধবচন্দ্র রায়ের কন্যা প্রীতির সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর এলাকার আব্দুর রশিদের পুত্র তাহির মিয়ার।

বিষয়টি আঁচ করতে পেরে প্রীতিকে তড়িঘরি করে অন্যত্র বিয়ে দেন তার পিতা। সেখানে এক পুত্র সন্তানের মা হন তিনি। কিন্তু তারপরও মোবাইলে যোগাযোগ করতে থাকে তার প্রেমিক তাহির। যদিও তাহির বিবাহিত এবং স্ত্রীসহ সপরিবারে বাস করেন। তার ফুসলানিতে এক পর্যায়ে স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে প্রেমের টানে পালিয়ে আসে প্রীতি রায়।

এদিকে তাহিরও বিবাহিত হওয়ায় প্রীতিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ বাড়িতে উঠাতে পারেনি সে। তাহির প্রীতিকে ধর্মান্তরিত করেন। প্রীতির নতুন নাম হয় কুলসুমা। এরপর কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে প্রীতিকে বিয়ে করে তাহির। পরে তারা দুজনেই শহরের একটি ভাড়া বাসায় নতুন সংসার পাতে। পাশাপাশি সিলেট এমসি কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকে কুলসুমা।

কিছুদিন ভালই চলছিল তাদের জীবন-সংসার। পরে ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে তাহির মিয়া। সংসারে দেখা দেয় অবিশ্বাস-সন্দেহ। সম্প্রতি বিষিয়ে উঠে তাদের দাম্পত্য জীবন।

এক পর্যায়ে বুধবার দুপুরে বিষপান করে প্রীতি। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বিকেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, এ ঘটনার পর তার প্রেমিক স্বামী তাহির মিয়া পলাতক রয়েছে বলে জানাগেছে। পুলিশ কুলসুমার লাশের ছুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।