নেত্রকোনাঃ প্রথম ধাপে নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এদের মধ্যে নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী ১০ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
নির্বাচন বিধি অনুযায়ী কোন প্রার্থী প্রাপ্ত বৈধ ভোটের ১৫ শতাংশ বা ৮ ভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
গত ৮ই মে এই দুই উপজেলায় প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। উপজেলায় মোট ভোট সংখ্যা ২ লাখ ২৫ হাজার ১২৫জন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৩ হাজার ৮৫৬টি। সেই হিসেবে জামানত রক্ষায় একজন প্রার্থীর ৯ হাজার ২৩২ভোট পাওয়া দরকার।
নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ ৩২ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩৭৩ ভোট। আর বাকি পাঁচ জন প্রার্থীর কেউই জামানত রক্ষার ভোট পাননি।
একইদিন জেলার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। উপজেলায় মোট ভোট সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭০জন। নির্বাচনে বৈধ ভোট পড়েছে ৬০ হাজার ৩৭১টি। সেই হিসেবে জামানত রক্ষায় একজন প্রার্থীর ৭ হাজার ৫৪৬ ভোট পাওয়া দরকার। নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নাজমুল হাসান নীরা ওরফে সাদ্দাম আকঞ্জি ৩১ হাজার ১৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদুর রহমান (কৈ মাছ প্রতীক) পেয়েছেন ২২ হাজার ১৪২ ভোট। বাকি পাঁচজন প্রার্থীর কেউই জামানত রক্ষার পর্যাপ্ত ভোট পাননি।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশের কম যারা ভোট পেয়েছেন তাদের জামানত বাতিল হবে।
উল্লেখ্য- এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে ১ লক্ষ আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা জামানত জমা দিয়েছেন।
নয়ন বর্মন
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
বাংলাদেশদর্পন।কম