করোনাভাইরাসের মহামারি চলাকালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদ দ্বিগুণ হয়েছে। এসময়ে এই ধনীদের ৭০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ বেড়ে দেড় ট্রিলিয়ন হয়েছে। এর বিপরীতে দারিদ্র্য ও অসমতা বেড়েছে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের নিয়ে ছোট আকারের একটি সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এই সম্মেলন শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে অক্সফাম।
প্রতিদিন তাদের সম্পদ বেড়েছে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার। দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করা এই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এই মহামারিকালে যে পরিমাণ সম্পদ ধনীদের বেড়েছে, গত ১৪ বছরে সেই পরিমাণ সম্পদ বাড়েনি। কিন্তু এমন সময়ে সম্পদ বাড়ছে, যখন বিশ্ব অর্থনীতি সংকটের মুখে রয়েছে।
এই অর্থনৈতিক অসমতার কারণে বিভিন্ন ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে। এর কারণে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না দারিদ্ররা। ক্ষুধা, লিঙ্গবৈষম্যগত সহিংসতা বেড়েছে।
অক্সফাম বলছে, আর্থিক অসমতার কারণে স্বাস্থ্যসেবা সংকট, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব পড়ছে। এতে প্রতিদিন ২১ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, মহামারির কারণে ১৬ কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। অসমতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে অশ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু জাতিসত্তার মানুষ ও নারীরা। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর পদ্ধতি সংস্কারের কথা বলেছে অক্সফাম।
যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস সাময়ীকি যে সম্পদশালী মানুষের তালিকা করেছে, সেই অনুসারে এ প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। ফোর্বসের হিসাবে শীর্ষ ধনীর তালিকায় রয়েছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, ফ্রান্সের ফ্যাশন জায়ান্ট এলভিএমএইচের প্রধান বার্নার্ড আর্নল্ট, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন, ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ, মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ বলমার, ওরাকলের সাবেক প্রধান নির্বাহী ল্যারি এলিসন, মার্কিন বিনিয়োগ গুরু ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেট।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বাংলাদেশ দর্পণ