নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ে ২০২১ সনের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে ফি পরিশোধ করতে অনেক অভিভাবককেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় শিক্ষার্থী অভিভাবকগন সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন।

স্থানীয় অভিভাবকগন সাংবাদিকদের বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ২০২১ সনে এইচএসসি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য দেয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শতভাগ শিক্ষা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন প্রায় ১১শ শিক্ষার্থী। সেইসাথে এবার এইচএসসি ফরম পুরণের বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা বোর্ডের দেয়া নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে নির্ধারিত বোর্ড ফি’র সঙ্গে অতিরিক্ত ১৫শ টাকা আদায় করছেন।

এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে কলেজ বন্ধ থাকলেও ব্যবস্থাপনা বাবদ আদায় করছেন অতিরিক্ত আরো ২শত টাকা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড ফি ৮০০ টাকা, কেন্দ্র ফি (ব্যবহারিকসহ) ৩৬০ টাকা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড ফি ৭৭০ টাকা, কেন্দ্র ফি ৩০০ টাকা আদায়ের নির্দেশনা দিয়েছেন।

অভিভাবকগণ আরো জানান, এইচএসসি পরীক্ষার জন্য শুধু বোর্ড নির্ধারিত পরীক্ষা ফি ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বকেয়া বেতন ছাড়া অন্য কোনো অর্থ আদায় করতে পারবে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এ নির্দেশনা উপেক্ষা করেই অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফরম পুরণের সময় বৃদ্ধি করা হলেও কলেজের পক্ষ থেকে মানবিক শাখায় নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২৪৭৫/- টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ২৫৭৫/- টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। সেই সাথে মান উন্নয়ন এবং পুরাতন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও ১হাজার থেকে ১২শ টাকা অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সরকারিভাবে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ১১৬০ টাকা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ১০৭০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও যথাক্রমে ২৪৭৫ ও ২৫৭৫ টাকা নেয়া হচ্ছে। আমরা গরিব শিক্ষার্থী, আমাদের সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষ যে অন্যায় করে চলেছে, সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকারের উর্দ্ধতন মহলের কাছে এ বিষয়টি তুলে ধরতে চাই।’

এ নিয়ে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, ‘অনলাইনে ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এতে তিনটি অংশের মধ্যে একটি অংশ বোর্ড, একটি কেন্দ্র ও আরেকটি অংশ কলেজের। কলেজের অংশটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়ে থাকে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনার বাহিরে কোন প্রকার অর্থ আদায় সম্পুর্ন বে-আইনী। বিষয়টি শিক্ষা অফিসারকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।’

 

বাংলাদেশদর্পণ.কম