ঢাকাঃ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহাকে দেখতে গিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা আইনের আধিকার ঠিকঠাকভাবে পাননি। তাই সরকারকে বলব, 'দেশ আইনের শাসনে চলা উচিত। বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার মৃত্যু যেন কারাগারে না হয়।

মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কারা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহাকে দেখতে গিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এ মন্তব্য করেন।

বঙ্গবীর আরও বলেন, 'রাখাল চন্দ্র নাহা একটি ষড়যন্ত্রমূলক খুনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন। তবে ১৯৯৯ সালের ওই হত্যাকাণ্ডের দিন নাহা বাড়িতেই ছিলেন না। অথচ ২০০৩ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। তখন আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতির বরাবর আবেদন করলে তার সাজা মওকুফ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া রেয়াতসহ নাহার মুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে ২০১৫ সালে। অথচ তিনি আজও মুক্তি পাননি। তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমি তার বাড়িতে গিয়েছি। সব জেনেবুঝেই বলছি―নাহার কোনো অপরাধ নেই। তাই সরকারকে আবারও বলব তাকে দ্রুত মুক্তি দিন। '

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাখাল চন্দ্র নাহার ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র নাহা বলেন, 'বাবার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কারা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। ২০২৩ সালের জুন মাসে তিনি মুক্তি পাবেন। তবে সে পর্যন্ত তিনি বাঁচবেন না। শেষ জীবনের কয়েকটা দিন পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা তার সেবা করতে চাই। তার মৃত্যুটা যেন আমাদের সামনে হয়, এ ছাড়া আর কোনো চাওয়া নেই। '

১৯৯৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দেবীদ্বারের হোসেনপুরে ধীনেশ চন্দ্র দত্তকে হত্যার অভিযোগ রাখাল চন্দ্র নাহা ও তার ভাই নেপাল চন্দ্র নাহার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে নিহতের পরিবার। নেপাল চন্দ্র নাহা পলাতক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। রাখাল চন্দ্র নাহা ঘটনার পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন। তার সাজা ২০২৩ সালের জুন মাসে শেষ হলে মুক্তি পাবেন তিনি।


প্রতিবেদক,বাংলাদেশ দর্পণ