ঢাকা: নতুন প্রজন্মকে শব্দ করে পড়ার মাধ্যমে মেধা চর্চায় উৎসাহিত করতে বিভিন্ন দেশে পালিত হয় ‘বিশ্ব শব্দ করে পড়া দিবস’। প্রতি বছরের মতো এবারও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) নানা কর্মসূচিতে দিবসটি পালন করতে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘রিড অ্যালাউড বাংলাদেশ’। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে ‘বিশ্ব শব্দ করে পড়া দিবস-২০২২’ উদযাপিত হবে ভার্চুয়ালি।

এ বছর ‘বিশ্ব শব্দ করে পড়া দিবস’ এর কর্মসূচিতে থাকছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদ, শিশু বিশেষজ্ঞ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সেমিনারের আয়োজন ও শিশুদের নিয়ে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা। উক্ত আলোচনায় বক্তারা শব্দ করে পড়ার তাৎপর্য সকলের মাঝে তুলে ধরবেন। এছাড়া, এই সংস্কৃতি হারিয়ে যাওয়ায় শিশুদের মনোজগতে কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তাও তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসবে।

উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীকে ‘রিড অ্যালাউড বাংলাদেশ’ এর ওয়েব সাইট ও ফেসবুক পেজে দেওয়া লিঙ্কে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। নিবন্ধনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ জন পাবেন রিড অ্যালাউড বাংলাদেশ-এর স্থায়ী সদস্য পদ। পরবর্তীতে তাদেরকে নিয়ে বছরব্যাপী  ‘শব্দ করে পড়া’ বিষয়ক ক্যাম্পেইনে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ওয়েবিনারে রিড অ্যালাউড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রূপক সিংহ’র সভাপতিত্বে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মাননীয় সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ ওমর ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া, জাতীয় শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. এন কে ঘোষ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 

এ বছরের আয়োজন প্রসঙ্গে রিড অ্যালাউড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রূপক সিংহ বলেন, “বেশ বড় পরিসরে সারাদেশব্যাপী এবার বিশ্ব শব্দ করে পড়া দিবস উদযাপনের পরিকল্পনা ছিল আমাদের। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এবারের আয়োজন শুধুমাত্র ভার্চুয়ালি সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ‘শব্দ করে পড়ি, নিজেকে আবিষ্কার করি’ এই স্লোগান দেশের প্রতিটি প্রান্তে শিশু ও অভিভাবকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার।”

তিনি আরো বলেন, “শিশুর পারিবারিক ও সামাজিক বিকাশে শব্দ করে পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। এতে বাচ্চাদের  জড়তা দূর হয় ও তারা নিজেকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে শেখে। আমাদের দেশে শব্দ করে পড়ার সংস্কৃতির পুনরুত্থানে এবং এই ভিশন বাস্তবায়নে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।”

 

প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ