হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ নানা অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

প্রতিদেবদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন।

গত জুলাই মাসে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বরাবর নবীগঞ্জ কলেজের ১২ জন শিক্ষক ও অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা বেতন সঠিকভাবে শিওর ক্যাশের মাধ্যমে পোস্টিং দেওয়া হয়নি, কয়েক বছর ধরে বেতন আদায়ের ক্ষেত্রে বেতন রেজিস্ট্রার বহি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। এ ছাড়া নানা অভিযোগ তুলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশকে প্রধান করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুসরাত ফেরদৌসিকে নিয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে গত ৩১ আগস্ট ইউএনওর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সফর আলী ও কম্পিউটার অপারেটর নয়ন মনি সরকার সহ আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, অর্থিক অনিয়ম, প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমি কলেজের সভাপতি। অধ্যক্ষ সাহেব আমার সাথে আলোচনা না করেই মনগড়া বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালানা করেছেন। যে কারণে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা মাধ্যমিক অধিদপ্তরের কাছে দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, নবীগঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ পদায়ন ও কলেজের আর্থিক বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি অডিটের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি