প্রায় নয় থেকে দশ বছর আগে বাগেরহাটের মোংলা থানার মিঠাখালি নামক গ্রামের আঃ ছালাম এর ছেলে মোঃ মহিবুল্লাহ (৩৩) চট্রগ্রাম যান জীবিকার জন্য। সেখানে গিয়ে মহিবুল্লাহ একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পান।

সেখানেই পরিচয় হয় চট্রগ্রামের রাঙ্গাবুনিয়া থানার উত্তর পদুয়া গ্রামের বাদল বড়ুয়া এর মেয়ে নুশু বড়ুয়ার (২৫) সঙ্গে। এক পর্যায়ে সেই পরিচয় রূপ নেয় প্রেমের সম্পর্কে, তারপর বিয়ে। বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করতে গত সাত বছর আগে আদালতের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন নুশু বড়ুয়া। মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করার পর তার নাম দেওয়া হয় সানজিদা আক্তার মনা। এরপর প্রায় ৬ বছর আগে ভালোবাসার মানুষ সানজিদা আক্তার মনাকে বিয়ে করেন মহিবুল্লাহ ।

বিয়ের পর চট্রগ্রামের স্থানীয় ভাড়া বাসায় তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেরই চলছিল। বিয়ের কিছুদিন পর সানজিদা বুঝতে পারে সবই ছিল মহিবুল্লাহ'র প্রতারণার ফাদ। সানজিদার কাছে থাকা ৫ লক্ষ টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণও নিয়ে যায় ঘাতক মহিবুল্লাহ। বিয়ে করার ১ বছরের মাথায় তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয় শহরের এক পতিতালয়ে, সেখানে কাটে নিষ্ঠুরতার দিন। কে জানতো এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা করবে মহিবুল্লাহ! ভালোবাসার মানুষটার বিশ্বাসঘাতকতা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেননা স্ত্রী সানজিদা।

ভাগ্গের জোরে সানজিদা পতিতালয় থেকে পালাতে সক্ষম হয়। এরপর সানজিদা মহিবুল্লাহর বাড়িতে আসলে সানজিদাকে রেখে বাড়ির সবকিছু বিক্রি করে পালিয়ে যায় মহিবুল্লাহ ও তার মা-বাবা।

এখন ছোট একটা অন্ধকার কুড়ে ঘরেই সানজিদার বসবাস। ভিক্ষা করে এখন জীবন চলছে সানজিদার। বাচ্চাটির মুখের আহার যোগাতে ছোট বাচ্চাকে সাথে নিয়েই ভিক্ষা করে সানজিদা।

ভুক্তোভোগী নারীসহ এলাকাবাসী দাবী করেন দ্রুতই এই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হোক। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী সানজিদা আক্তার মনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দাখিল করেছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনা কি তা ভালোভাবে জানার জন্য অভিযুক্ত কে আনার জন্য অত্র ইউপি চেয়ারম্যান কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ