দিনাজপুর: খানসামা উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাংবাদিক ধীমান দাশের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। স্থানীয় এক মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের হাতে আটক হওয়ার সংবাদ পরিবেশন করায় ক্ষুব্ধ গোষ্ঠী তার ওপর এই হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, খানসামা পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যালয় পাকেরহাট চরনকালী মন্দির প্রাঙ্গণে মিটিং চলাকালে মন্দিরের অদূরে ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে শতাধিক ছেলে লাটিসোটা নিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক গালিগালাজ করে। এমন অবস্থায় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ধীমান দাশ খানসামা থানায় অবগত করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খানসামা থানা থেকে দুইজন পুলিশ কনস্টেবল যায়।

পুলিশের উপস্থিতিতেই মিটিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে ধীমান দাশের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এতে ধীমান দাশ গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাকেরহাটে ভর্তি করে পুলিশ।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দর্পণকে ধীমান দাশ জানান, তিনি দিনাজপুর থেকে নিয়মিত দৈনিক সৃজনী পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। গত ২ জুন রেজাউল করিমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাহানুল করিম মাদক দ্রব্যসহ চিরিরবন্দর থানায় আটক হয়। এই বিষয়ে সংবাদ করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়। এরপর ২১ জুন তারা হামলা চালায়। সেই বিষয়ে ২৪ জুন খানসামা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আবারও আজকের এই হামলা করেছে।

দিনাজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায় এ বিষয়ে বলেন, আমরা হামলার খবর পেয়েই খানসামা থানায় গিয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান করেছি। খানসামা প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে।

কিন্তু একদিন পরে বেলা গড়িয়ে গেলেও মামলা রেকর্ড না হওয়ায় ধীমান দাশ মানবাধিকার সংস্থা মাইনরিটি ওয়াচের নিকট সহায়তা চান। এরপর বাংলাদেশ মাইনিরিটি ওয়াচের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি বিকাশ স্বর্ণকার খানসামা থানায় মামলা বিষয়ে কথা বলেন। এরপর মামলা রেকর্ড হয়। মামলা নং ০১, ধারা ১৪৩,৩৪১,৩২৩,৩২৫,৩২৬,৩০৭,৫০৬,১১৪,৩৪।

এ বিষয়ে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শেখ কামালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি  বাংলাদেশ দর্পণকে জানান, ইতোমধ্যে মামলা রেকর্ড হয়েছে এবং ১ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ