ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে নতুন রোগীর সংখ্যা কমতে থাকায় মহামারি পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। যেখানে কিছুদিন আগে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লাখ আক্রান্ত হতো, তা অনেকটাই কমে এসেছে।
 
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, রবিবার সকালের আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৮০ হাজার ৮৩৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। ২ এপ্রিলের পর থেকে এটি ভারতে দৈনিক শনাক্তের সর্বনিম্ন সংখ্যা বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
 
যুক্তরাষ্ট্রের পর শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দেশটিতে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৯ জনে।
 
একই দিন ভারতে আরও ৩৩০৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর মৃতের সংখ্যায় বিশ্বে তৃতীয় স্থানে থাকা দেশটিতে মারা যাওয়া কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
 
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ভারতে দুই লাখের বেশি কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে দেশটির কিছু রাজ্যে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা সরকারি তালিকায় উঠে আসেনি বলে খবর হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশটিতে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবের পাঁচ থেকে ১০ গুণ বলে বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের।
 
করোনাভাইরাসে ভারতের অবস্থা এতটাই শোচনীয় পর্যায়ে চলে যায় যে, দেশটির হাসপাতালগুলো অক্সিজেনসহ নানা ধরনের জরুরি চিকিৎসা সামগ্রীর সঙ্কটে পড়ে। এই অবস্থায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে।
 
কিছুদিন আগেই ভারতের হাসপাতালগুলোতে দৈনিক ৩ থেকে চার হাজার মৃত্যু ও ৩ থেকে ৪ লাখ আক্রান্ত হতো। এখন আক্রান্ত কমে লাখের নিচে চলে এসেছে। তবে মৃত্যু ২ থেকে ৩ হাজারের মধ্যেই উঠানামা করছে। তাই বিশেষজ্ঞরা এখনও শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না।
 
তারা বলছেন, মানুষজন স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ও সচেতন না হলে দেশটিতে তৃতীয় ঢেউয়ে আরেকটি বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। যা দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও করোনায় ভঙ্গুর অর্থনীতির জন্য মোটেই সুখকর হবে না। তাই তারা জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সরকারকেও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।