করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে চীনের দেয়া আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা আজ রবিবার (১৩ জুন) ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

গতশুক্রবার (১১ জুন) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানান ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান।

ফেসবুকে কয়েকটি ছবিসহ হুয়ালং ইয়ান এক পোস্টে লিখেন- ‘চীনের উপহারের ৬ লাখ ডোজ টিকা বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছে।’

এর আগে গেল বুধবার (৯ জুন) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম এবং বাংলাদেশ চীন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির (বিসিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জানিয়েছিলেন, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের টিকা সংগ্রহ এবং যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের ব্যাপটারে দু’দেশের ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে।

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘চীনের দুঃসময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেডিকেল সামগ্রী সহায়তার কথা ভুলবে না চীন। এরই ধারাবাহিকায় বাংলাদেশের প্রয়োজনের সময় বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। দ্বিতীয় দফায় চীনের উপহারের টিকা আগামী ১৩ জুনের মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছুবে।’

গত ১২ মে চীন সরকারের পক্ষ থেকে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা উপহার হিসেবে ঢাকায় পৌঁছানোর ৯ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফায় উপহার হিসেবে আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর ঘোষণা দেয় চীন সরকার।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ও মান বিবেচনায় চীনের টিকা উত্তীর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশে এ টিকার জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দেয় সরকার।

সিনোফার্মের তৈরি প্রথম ধাপের উপহারের ওই টিকার ৩০ হাজার অবশ্য বাংলাদেশে কর্মরত চীনের নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় যে ৬ লাখ টিকা বাংলাদেশকে চীন দিচ্ছে, সেটাও সিনোফার্মের তৈরি।

ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের ওপর একক নির্ভরতা নিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এর আগে টিকা পেতে চীন ও রাশিয়াকে সরকার প্রস্তাব দেয়। রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-৫ এর জরুরি ব্যবহারে গত ২৭ এপ্রিল অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এর দুদিন পর গত ২৯ এপ্রিল চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোর টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ।

সবশেষ গত ৬ জুন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি ব্যবহারের জন্য চীনের আরেকটি টিকা সিনোভ্যাক অনুমোদন দেয় বাংলাদেশে।
 
এ নিয়ে মোট ৫টি টিকা বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল। যার মধ্যে রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, স্পুটনিক, সিনোফার্মা, ফাইজার ও সিনোভ্যাকের টিকা।