বাগেরহাট : কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বাগেরহাট জেলায় যত মানুষ মারা গিয়েছে তার দুই তৃতীয়াংশই ফকিরহাট উপজেলার। করোনা রোগীর সংখ্যাও এ উপজেলায় সব চেয়ে বেশি ছিলো। এ চিত্র মাত্র কিছুদিন আগের। বর্তমানে শনাক্তকৃত কোন রোগী না থাকলেও উপজেলাটি রয়েছে উচ্চ ঝুঁকিতে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতসহ রয়েছে বাড়তি তৎপরতা। ভ্রাম্যমান আদালত ও আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখলে মাস্ক মুখে দিচ্ছেন এবং পরবর্তীতে আবার খুলে রাখছেন।

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর রহমান এবং ফকিরহাট এসি-ল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা সুলতানা বুশরা উপজেলার ফলতিতা বাজার, কাটাখালী, খাজুরা, মৌভোগ, বেতাগা, টাউন নোয়াপাড়া, ফকিরহাট বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বাইরে চলাচলরত মানুষের মুখে মাস্ক না পড়ার জন্য জরিমান করছেন। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মানতে এলাকায় একাধিকবার মাইকিং করা হয়।

সড়েজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাস্ক নেই বেশিরভাগ মানুষের মুখে। বাজারে ও জনসমাগম হয় এমন স্থানে মাস্ক পরার নিয়ম থাকলেও ফকিরহাটে বেশিরভাগ মানুষ তা মানছেন না। অনেকে মাস্ক নিয়ে বের হলেও তা পকেট কিংবা মুখ খোলা অবস্থায় থাকেন। ভ্রাম্যমান আদালত ও আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেলে তবেই মুখে দিচ্ছেন এবং পরবর্তীতে আবার খুলে রাখছেন। “জনগণ করোনা নয়, জরিমানায় ভয় পাচ্ছে” এমনটিই বলছেন অনেকে রসিকতা করে।

 সারা দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রামন ‍বৃদ্ধিতে বাগেরহাট জেলায় করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ এর নেতৃত্বে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য, জননেতা শেখ হেলাল উদ্দিন সেখানে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। বিশেষ করে ফকিরহাট উপজেলার সাথে খুলনা ও ঢাকার প্রবেশ পথে চেক পোস্ট ও থার্মল মেশিনে তাপমাত্র নির্ণয়ের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন।

ফকিরহাটে করোনা প্রতিরোধে ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও মো: তানভীর রহমান।