ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে কুমিল্লার মুরাদনগর ও দিনাজপুরের পার্বতীপুরে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, নারীদের শ্লীলতাহানি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেফতার ও বহিস্কার, অধ্যাপক কুশল চক্রবর্তীকে হত্যার হুমকি এবং সর্বত্র বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে অব্যাহত কটুক্তিসহ দেশব্যাপী উগ্র সাম্প্রদায়িক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় শ্রী শ্রী কালীবাড়ি মোড়ে সারাদেশের সঙ্গে একযোগে গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে সংগঠনটির কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা। উক্ত কর্মসূচীতে পূজা উদযাপন পরিষদ, ছাত্র ঐক্য পরিষদ, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ ও হিন্দু ছাত্র মহাজোটের স্থানীয় শাখা এবং সনাতন যুবশক্তি পরিষদের নেতাকর্মীবৃন্দ একাত্বতা প্রকাশপূর্বক অংশগ্রহণ করেন।
 
গণঅবস্থানে বিশেষভাবে বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন পরিষদ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মাখন দেবনাথ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র, ছাত্রলীগ নেতা বিবেকানন্দ রায়, সনাতন যুবশক্তি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অর্জুন কর্মকার ও জেলা শাখার আহ্বায়ক সুমন বর্মন, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ জেলা শাখার সভাপতি যামিনী রায়, হিন্দু ছাত্র মহাজোট জেলা শাখার আহ্বায়ক নিলয় পাল আদর সহ আরো অনেকে।
 
গণঅবস্থানে বক্তারা সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন এবং সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের জোরালো দাবী জানান।
 
উক্ত কর্মসূচীতে সমাপনী বক্তব্য রাখেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এড. ক্ষিতীশ দেবনাথ এবং সম্পূর্ণ কর্মসূচী সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রণব সরকার।
 
গণঅবস্থান শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শ্রী শ্রী কালীবাড়ি মোড় থেকে শুরু হয়ে শ্রী শ্রী শ্যামসুন্দর লক্ষ্মী নারায়ণ জিউড় আখড়ায় গিয়ে শেষ হয়।
 
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি | বাংলাদেশদর্পণ.কম