“আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির, ধরনীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা, প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগতমাতার আগমন বার্তা।”

১৭ সেপ্টেম্বর ঘরে ঘরে বেজে উঠেছে মায়ের আগমনী সুর। তবে প্রতি বছরের থেকে ভিন্নতা রয়েছে এবার মায়ের পূজায়। এবার আসবে আশ্বিনের পরিবর্তে কার্তিক মাসে।

১৯ বছর পর পুনরায় ঘটতে চলেছে এই ঘটনা। কারণ, পঞ্জিকা অনুযায়ী এবার আশ্বিন মাস হলো‘মল মাস বা মলিন মাস।’ ১৯ বছর পর পর আশ্বিন মাস মল মাস হয়। এর আগে  ১৯৮২ এবং ২০০১ সালেও আশ্বিন মাস ছিল মল মাস এবং হিসাব মতে ২০৩৯ সালেও আশ্বিন মাস হবে মল মাস। মলিন মাস হওয়ায় এই মাসে সকল পূজা নিষিদ্ধ।

পৌষ মাস বরাবরই মল মাস। এই মাস বাদে অন্যদের ক্ষেত্রে যদি কখনও একই মাসে দু’টি অমাবস্যা হয় তবে সেই মাসটিকে মল মাস হিসেবে মান্য করা হয়। মল মাসে কোনো মাঙ্গলিক কর্ম ও পূজা-পার্বন নিষেধ।

সকল পূজা হয় চন্দ্র-সূর্যের গতিবিধি ও তিথির উপর নির্ভর করে। কিন্তু চন্দ্র এবং সূর্যের হিসাবটা একটু আলাদা। কেননা সূর্য পৃথিবীকে ত্রিশ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে আর চন্দ্র করে সাতাশ থেকে সাড়ে উনত্রিশ দিনে। তাই প্রতি মাসেই কিছু দিনের ব্যবধান থেকে যায়। যা বছর শেষে ১১ দিনে দাঁড়ায়। পৌষমাস বাদে যেকোনো মাসই মল মাস হতে পারে। আর আশ্বিন মাস মল মাস হওয়ায় এই বছর পূজা হবে কার্তিকে।

ধর্ম ডেস্ক | বাংলাদেশদর্পণ.কম