নরসিংদীর শিবপুর উপজেরার আশ্রাবপুর চাকবাড়ি গ্রামের মাহাবুব খানের স্ত্রী সাদিয়া ইসলাম (২২) এর রহস্য জনক মৃত্যু। হত্যা না আত্মাহত্যা এ নিয়ে সংশয় রহেছে। এ বিষয় শিবপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সাদিয়ার পিতা মো: হুমায়ন কবির।


মেয়ের পারিবার সূত্রে জানা যায়,  আড়াই বৎসর পূর্বে রহিম খানের ছেলে মাহাবুবের সাথে একই উপজেলার  বিরাজনগর গ্রামের হুমায়ন কবিরের মেয়ে সাদিয়ার বিয়ে হয়। কিছু দিন যেতে না যেতে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ শুরু হয়। এরই আলোকে  (২৯ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকায় সাদিয়ার মৃত্যু হয়। সাদিয়ার মৃত্যু নিয়ে দুই পরিবারের ভিন্ন ভিন্ন মত।


সাদিয়ার চাচাত ভাই মনির হোসেন বলেন,আমার বোন সাদিয়ার স্বামী মাহাবুরের সাথে তার ভাবী ফেরদৌসীর  সাথে পরকিয়া প্রেম ছিল যা-সাদিয়া তার নিজ চোখে দেখে ফেলে এবং  আমাকে পূর্বে এ বিষয়টি অবহিত করেছিল। সাদিয়ার পরিবারের দাবী তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।
অপর দিকে নিহতের স্বামী মাহাবুবের ভাতিজা মামুন বলেন,(২৯ আগস্ট) সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকায় চাচি সাদিয়া বাথরুমে গিয়ে ঢলতে ঢলতে পরে যায়। এ অবস্থায় তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা উত্তরা একটি জাপানি হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলে সে মোতাবেক ঐ হাসপাতালে  নেওয়ার পর রাত্র  আনুমানিক ৮ ঘটিকায় মৃত্যু বরন করেন।


এ বিষয় বাঘাব ইউপি চেয়ারম্যান তরুন মৃধা বলে,স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম। এরই জের ধরে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে বলে আমার ধারণা। ময়না তদন্তের রিপোট আসার পর বিষয়টি স্পস্ট হবে।
এবিষয়ে শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত আবুল কালাম বলেন,  অভিযোগ পাওয়া গেছে। মরদেহটি ময়না তদন্তের রিপোটের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতল মর্গে পেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোট আসার পর বলা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা