আশাশুনি ও শ্যামনগর সহ উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ী বেড়ীবাঁধ নির্মাণ ও সাতক্ষীরা শহরের জলাবদ্ধতার নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা নিউ মাকের্ট চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রথম আলো বন্ধুসভা, সাতক্ষীরার সভাপতি জাহিদা জাহান মৌ। প্রথম আলো বন্ধু সভা, সাতক্ষীরার আয়োজনে অনুষ্ঠিক মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যানার্জী, এটিএন বাংলার নিজস্ব প্রতিনিধি এম. কামরুজ্জামান, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক ও নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ,সাতক্ষীরার দপ্তর সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, প্রথম আলোবন্ধু সভা,সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাবেক সভাপতি রাশিদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম হোসেন, রাহাদ খান বাপ্পা, পল্লবী সরকার প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রথম আলো বন্ধু সভা, সাতক্ষীরার সহ-সভাপতি মো: হোসেন।


এসময় বক্তারা বলেন, আম্ফানের ৩ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকার ভেঙে যাওয়ার বেড়ীবাধ গুলো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। ষাটএর দশকের পর থেকে উপকূলের জরাজীর্ণ বেড়ীবাধ গুলোতে শুধু মাটি দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। যে কারণে দূর্যোগ হলেই উপকূলীয় এলাকার মানুষের আর দু:খ কষ্টের শেষ থাকে না। আস্ফানে ভেঙে যাওয়ার কারণে আশাশুনির প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর ও কাশিমাড়ী ইউনিয়নের মানুষ প্রায় ৩ মাস পানি বন্দি ছিলো। সম্প্রতি কয়েকদিনের টানা বর্ষণে আরো কয়েকটি স্থান ভেঙে প্রতাপনগর শ্রীউলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়। প্রতাপনগরের এক টুকরো শুখনা মাটি নেই। মানুষ মারাগেলে তাদের দাফনও করতে পারছে না।

এই দূর্ভোগের মূল কারণ পানি উন্নয়ণ বোর্ডের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের লুটপাট। এসব বাধের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও উপকূলে টেকসই বাধ নির্মাণ না হওয়ার কারণে অবর্ণনীয় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার মানুষ। আমাদের একটাই দাবি উপকূলে টেকসই বেড়ীবাধ। এই অবর্ণনীয় দু:খ কষ্টের হাত উপকূলের মানুষকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।