ভালো ঘুম

দিন-রাত্রির যে চক্র (সারকাডিয়ান সার্কেল) তা ইমিউন সিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রাতের ঘুমের প্রথম প্রহরে টি-কোষ এবং সাইটোকিনের পরিমাণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে থাকে। টি-কোষ হচ্ছে রক্তের সে ধরনের শ্বেতকনিকা যেগুলো ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শানিত করে এবং সাইটোকিন এসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রদাহমূলক প্রতিক্রিয়ার সূচনা করে।

দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ কমিয়ে রাখুন

দীর্ঘ দিন মানসিক চাপে থাকলে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং অটো-ইমিউন রোগ সৃষ্টি করে। স্ট্রেস হরমোন হচ্ছে কর্টিসল – এটি সাইটোকিন তৈরি করে যা ইমিউনিটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

শরীর চর্চা শুধু মানসিক চাপ কমায় তা নয়, এটি ইমিউন সিস্টেমকেও প্রতিরক্ষা দিয়ে থাকে। Aging cell- জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে দেখানো হয়েছে যে, যথেষ্ট পরিমাণে ব্যায়াম বা শরীর চর্চা বা কায়িক শ্রম ইমিউন সিস্টেমের ক্ষয় প্রতিহত করে। নিয়মিত যোগ অভ্যাস করুন।

ভিটামিন-সম্মৃদ্ধ খাবার খান

ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিহত করতে ভিটামিন-এ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কডলিভার অয়েল বা ভিটামিন-এ ক্যাপসুল প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত। হাম (মিজলস) চিকিৎসায় এর সফল ব্যবহার রয়েছে। ভিটামিন-এ পাবেন যেসব খাবারে সেগুলো- মিষ্টি আলু, সবুজ শাকসবজি, লাল মরিচ, গাজর, লাউ, ফুটি, খরমুজ, পেঁপেঁ, আম, লিচু, আনারস, পেয়ারা, আমলকী, লেটুস, গুড়া লঙ্কা, এপ্রিকট, পুদিনা ইত্যাদিতে। তীব্র প্রদাহের সময় স্বল্প সময়ের জন্য শিরায় ভিটামিন-এ ইনজেকশন দেয়া হয়ে থাকে।

জিংক, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-ই সম্মৃদ্ধ খাবার খান, সম্ভব না হলে এগুলোর ট্যাবলেট ফর্মে খান।

প্রোটিন যুক্ত খাবার বেশি খান এবং কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করুন।

জল বেশি করে খান।

শ্বাস-প্রশ্বাস এর ব্যায়াম করুন।

নিজের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখুন, করোনাকে জয় করা অসাধ্য নয়। করোনাকে সাথে নিয়েই বাঁচতে শিখুন।