বর্তমান পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বের মানুষ এক কঠিন সময় পার করছে। করোনাভাইরাস হাত থেকে বাঁচতে সারা পৃথিবীর মানুষ এখন গৃহবন্দী । এর ব্যতিক্রম হয়নি বাংলাদেশও। করোনাভাইরাস (কভিড ১৯) সংক্রমণ মোকাবেলায় দেশে চলমান সাধারণ ছুটি ঘোষণায় স্থবির হয়ে পড়া সাধারণ মানুষ ও খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা একদিকে যেমন হয়ে পড়েছে কর্মহীন, অন্যদিকে তারা মুখোমুখি হচ্ছে খাদ্য সংকটে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মহীন ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে অন্যতম দৃষ্টান্ত রাখলো শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম।

শনিবার (২৩ মে) দুপুরে শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রমের পক্ষ থেকে অসহায় ও শ্রমজীবীদের মাঝে ৫’শ শাড়ী বিতরণ করা হয়েছে।

রাজধানীর অন্যতম সার্বজনীন মন্দির শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সজীব বিশ্বাসের নেতৃত্বে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

এসময় উৎপল সাহা বলেন, আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে যদি কিছুটা সহযোগীতা করতে পারি তাহলে আমাদের দেশে অসহায় – শ্রমজীবী মানুষের সাথে কিছুটা হলেও ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করা যাবে।

তিনি বলেন, দেশে করোনা ভাইরাস এর কারণে সাধারণ ছুটি থাকায় সবকিছু বন্ধ তাই দিন মজুর ও শ্রমজীবী মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন। এর ফলে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষেরা খাদ্য দ্রব্য ও নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না। তাই আমরা এসব অসহায় মানুষের মাঝে এই রমজান মাসজুড়ে বিভিন্ন সময়ে ইফতার বিতরণ করেছি।

এসময় সমাজের বিত্তবানদের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, দেশের সব মন্দিরের লোকজন যদি অসহায় মানুষদের পাশে এভাবে দাঁড়ায় তাহলে দেশে কোন মানুষ ঈদের আনন্দ থেকে বাদ পড়বে না ।

এ সময় তিনি আরো বলেন, তারা সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও যে মহৎ কাজ করছে তার জন্য আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

উৎপল সাহা আরো বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার । আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েছি কি হয়েছে তার জন্য কি আমার তাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারি না!

এসময় উপস্থিত ছিলেন মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি শ্রী বাবুল বিশ্বাস,সহ-সভাপতি প্রান কৃষ্ণ সাহা, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক চৈতী রানী বিশ্বাস, যুগ্ন-সম্পাদক সুমন রনি, যমুনা টিভি সাংবাদিক দেবাশীষ সরকার প্রমূখ সহ-সভাপতি পান্না বিশ্বাস, নিত্য পূজা সম্পাদক গোকুল সাহা, কোষাধ্যক্ষ পরাণ সাহাসহ মন্দির কমিটির নেতা কর্মীবৃন্দ।