ব্রাক্ষণবাড়িয়া: নাসিরনগর উপজেলার তিলপাড়ার মোহনলাল দাস নামক এক নিঃখোঁজ চাষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ঘাস কাটতে গিয়ে ওই চাষী (৪৭) নিঃখোঁজ হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরদিন সোমবার সকালে রসুলপুরের এক পাটক্ষেত থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

নাসিরনগর উপজেলার তিলপাড়ার মৃত রণজিৎ দাসের পুত্র মোহনলাল দাস বৈবাহিক সূত্রে বেশ কয়েকবছর যাবৎ বুড়িশ্বর ইউনিয়নের অন্তর্গত দক্ষিণ সিংহ গ্রামে বসবাস করতেন। রবিবার সন্ধ্যায় হতে ঘাস কাটতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। সেদিন সারারাত খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান মেলে না।

সোমবার (১৮ মে) সকাল ১০টার দিকে ফান্দাউক ইউনিয়নের রসুলপুরে মোঃ ফজর আলীর পাটক্ষেতে মোহনলালের মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। এসময় মরদেহের নাকে-মুখে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন দেখে ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কারা মোহনলাল কে খুন করেছে।

উল্লেখ্য, রসুলপুরের যে পাটক্ষেতে মোহনলালের লাশ পাওয়া গেছে সেই জমির মালিক ফজর আলী ও তার পরিবার বাড়ি ছেড়ে পলায়ন করেছে বলে জানা গেছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজেদুর রহমান। তিনি জানান, সন্দেহজনক বাক্তির নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন মৃতের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সরকার।

সন্ধ্যা রানী বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে কারো কোন খারাপ সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু আমাদের ধারনা আমার স্বামী যখন ফজর আলীর পাট ক্ষেতে খড় কাটতে গেছেন, তখন হয়ত ফজর আলী রাগান্বিত হয়ে আমার স্বামীকে খুন করেছে।

তদন্তকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর সৈয়দ কবির হোসেন বলেন, যেহেতু ঘটনার পর পর ফজর আলী ও তার পরিবার বাড়ি ঘর ছেড়ে পলায়ন করেছে, সেহেতু আমরা তাকে সন্দেহ করছি। আমরা তাকে খুঁজে বের করব। তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।