মৌলভীবাজার: কমলগঞ্জ উপজেলার ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সরিষকান্দি শব্দকর পাড়ার ২৫-৩০টি পরিবার করোনা প্রভাবে ভাল নেই।

করোনা ভাইরাসে করনীয় বিষয়ে কিছুই জানেনা না তারা। ঘনবসতি, নোংরা পরিবেশে রোগ-জীবাণু নিয়ে বসবাস করছে শব্দকর সমাজ। ভ্যান-ঠেলা-রিকশা চালিয়ে ও ভিক্ষাবৃত্তি করে চলা জীবন করোনা প্রভাবে স্তমিত হয়ে গেছে। অনাহারে দিন কাটছে তাদের।

ছোট ছোট বাচ্চারা বলছে, বাবা রিকশায় যায় নাই, তাই লাল চা আর চাল ভাজা খেয়ে দিন পার করছি। সহযোগিতার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে গেলে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেন।

স্থানীয়রা আরো বলেন, সরকারী কোন সুযোগ-সুবিধা আমরা পাইনা। সম্পদশালীরা নিয়মিত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের ঘর ও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতার জন্য আমাদের কাছ থেকে কাগজপত্র সব নিয়ে আমাদের দূর দূর করে তাড়িয়ে দেন চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য। শব্দকর সমাজের লোকদের সাথে তারা খারাপ ভাষায় আচরণ করেন।

এক বয়স্ক লোক বলেন, ঘরের জন্য কাগজাত দেওয়ার কিছুদিন পর ইউপি সদস্যের কাছে গেলে গালিগালাজ করে মারতে উদ্যত হন ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান। শব্দকর সমাজকে সহযোগিতায় সরকারি-বেসরকারি-সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসার আহবান সচেতনমহলের।  

তবে অভিযোগের কথা অস্বীকার করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান। এব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও রহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল বলেন, এদের তালিকা করে দেওয়া হলে মৌলভীবাজার-৪ আসনের মাননীয় এমপি মহোদয়ের বরাদ্দ থেকে তাদের সহযোগিতা করব।  

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক জানান, আমি এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরীন বলেন, এব্যাপারে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।